আজ শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পাহাড়ধসের আতংকে মিরসরাইয়ের ২০ হাজার মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : শনিবার ১৮ জুন ২০২২ ০৬:১১:০০ অপরাহ্ন | দেশ প্রান্তর

ঝুঁকিতে রয়েছে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করা মানুষ। টানা বৃষ্টির ফলে পাহাড়ধসের আতংকে রয়েছেন অন্তত ২০ হাজার মানুষ। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের সামনের খিল, নলকূপ-আশ্রয়ণ কেন্দ্র, কালাপানিয়া, কয়লা, ঝিলতলী পাহাড়ে বাঙালি ও ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের প্রায় এক হাজার ৫০০ পরিবার বসবাস করে। হিঙ্গুলী ইউনিয়নে ৮০ পরিবার, দূর্গাপুর ইউনিয়নে ২০০ পরিবার, সংশটিলায় ৫০ পরিবার, রব্বাইন্নাটিলা এলাকায় ৫০টি পরিবার বসবাস করে। মিরসরাই সদর ইউনিয়নের উত্তর তালবাড়িয়া, মধ্যম তালবাড়িয়া গ্রামের পাহাড়ে ৫০০ পরিবার, খৈয়াছড়া ইউনিয়নে ৮০ পরিবার, কাঁঠালবাগান এলাকায় ৪০ পরিবার, রেলস্টেশন এলাকায় ৮০ পরিবার বাঙালি বসবাস করে। এছাড়া নিজতালুক এলাকায় প্রায় ৬০০ ত্রিপুরা পরিবার, ওয়াহেদপুর ইউনিয়নে ২০০ পরিবার, বাওয়াছড়া সেচ প্রকল্প এলাকায় ১০০ পরিবার, হাদি ফকিরহাট এলাকায় ৮০ পরিবার বসবাস করে।

মিরসরাই সদর ইউনিয়নের তালবাড়িয়া গ্রামের ছোটন ত্রিপুরা (৪০) বলেন, ছোট বেলা থেকে আমরা এখানে বসবাস করে আসছি। আগে পাহাড়ে বসবাসকারী কম থাকলেও এখন তা বেড়ে গেছে। কেননা বড় পরিবারগুলো আস্তে আস্তে ভেঙে যাচ্ছে। আমাদের নিজস্ব কোনো ভূমি নেই। সরকারি জায়গায় থাকি। বাঁচলেও এখানে থাকবো মরলেও এখানে মরবো।

রবার্ট ত্রিপুরা নামের আরেকজন বলেন, পাহাড়ের চূড়ায় ভাঙা ঘরে ছেলে মেয়ে নিয়ে বসবাস করছি। বর্ষাকালে ডরে ডরে (ভয়ে ভয়ে) থাকি কখন পাহাড়ধসে পড়ে। সারারাত জেগে থাকি। বর্ষাকালে মেম্বার-চেয়ারম্যানরা আমাদের সরে যেতে বললেও কোনো স্থায়ী বসবাসের ব্যবস্থা করেন না।

মিরসরাই সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলম দিদার বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে সরে যেতে পাহাড়ের অধিবাসীদের সর্তকতা করা হয়েছে। তাছাড়া উত্তর ও মধ্য তালবাড়ীয়া এলাকায় বসবাসকারীরা পাহাড়ের উঁচুতে থাকেন। ফলে তারা কিছুটা ঝুঁকিমুক্ত।

ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল কবির ফিরোজ বলেন, ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের বড়দারোগারহাট থেকে নয়দুয়ার পর্যন্ত প্রায় ২৫০ পরিবার বসবাস করে। যাদের অধিকাংশ বাঙালি। যাদের নিজস্ব কোনো জায়গা নেই।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিনহাজুর রহমান বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা জানিয়েছেন পাহাড়ে বসবাসকারীরা ঝুঁকিপূর্ণ নয়। তারপরও কোনো পাহাড়ে লোকজন ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন কী না খতিয়ে দেখা হবে।