আজ রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

নাইক্ষ‌্যংছড়ির ঘুমধুমে বন্ধ থাকা ৫ স্কুল খুলে দেওয়াতে শিক্ষার্থীদের মাঝে আনন্দ উচ্ছ্বাস

মোঃ ইফসান খান ইমন, নাইক্ষ‍্যংছড়ি : | প্রকাশের সময় : বুধবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০৯:২১:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

নাইক্ষ‍্যংছড়ির সীমান্তের কাছাকাছি মিয়ানমার অভ্যন্তরে জান্তা সরকার ও বিচ্ছিন্নতাবাদী  বিদ্রোহী গ্রুপের মধ্যকার তুমুল সংঘর্ষের ফলে দীর্ঘ ২৩ দিন বন্ধ থাকে ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বিদ্যালয় গুলো।সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় উক্ত বিদ্যালয় গুলো খুলেছে।শিক্ষার্থীরা ফিরছে তাদের প্রিয় পাঠশালায়।প্রান ফিরে এসেছে পাঠশালা গুলোতে। যথারীতি নিয়মে চলেছে শিক্ষা কার্যক্রম। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তবর্তী এলাকায় ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় দীর্ঘ ২৩ দিন বন্ধ থাকার পর খুলেছে।

বুধবার ২৮ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০ টায় ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের মিয়ানমার লাগোয়া ভাজাবনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,তুমব্রু পশ্চিমকুল পাহাড় পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,বাইশফাঁড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলেছে। শিক্ষার্থীরা নিজ পাঠশালায় ফিরছেন। শিক্ষকরাও উপস্থিত হয়েছে যথাযথ নিয়মে সঠিক সময়ে। সীমান্তের কাছাকাছি ভাজাবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহেদ হোসাইন বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়াতে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় খোলা হয়েছে বিদ‍্যালয়।

মিয়ানমার অভ্যন্তরে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সংঘাতের কারণে সীমান্ত লাগোয়া ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাময়িক বন্ধ ঘোষনা করেছিল কর্তৃপক্ষ।সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় অন্যান্য বিদ্যালয় গুলোর মত আমরাও আমাদের ভাজাবনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৭ ফেব্রুয়ারী পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে যথারীতি খুলেছি।ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে এসেছে।

তুমব্রু পশ্চিমকুল পাহাড় পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিন  বলেন,শিশু শিক্ষার্থী আবারো প্রানের পরিবেশে ফিরে পেয়ে বেশ উচ্ছ্বাসিত।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ত্রিরতন চাকমা  বলেন,সীমান্ত পরিস্থিতি ভালো।সব ঠিকঠাক আছে,তাই বিদ্যালয় গুলো জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় খুলে দেওয়া হয়েছে।উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারি মাসের ৫ তারিখ জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিস ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়,একটি মাদ্রাসা ও একটি উচ্চ বিদ্যালয় সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছিল।