আজ শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

থানচিতে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের "ইস্টার সানডে" উদযাপন।

থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ ০৩:৩৮:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

আজ ইস্টার সানডে। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহৎতম ধর্মীয় উৎসব। ইস্টার সানডে উৎসবের উপলক্ষে বান্দরবানের থানচিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় সারা বিশ্বের সাথে একযোগে উৎসবটি পালন করা হয়েছে।

 

রবিবার (৩১ মার্চ) সকালে পাহাড়ে ইস্টার সানডে উৎসবের খ্রিস্টান পাড়া গুলোতে প্রতিটি চার্চের প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। থানচিতে ত্রিপুরা, বম, খুমি, ম্রো, খিয়াং সম্প্রদায়ের লোকজন খ্রিষ্ট ধর্ম পালন করে থাকে। 

 

তখনকার প্রধান পুরোহীতেরা ও ধর্ম শিক্ষকেরা যীশুকে গোপনে মেরে ফেলার উপায় খোঁজেছিলেন। এমন সময় ইষ্কারোতিয় যিহুদা ৩০টাকা রৌপ্য বিনিময়ে যীশুকে শত্রুদের হাতে ধরিয়ে দিলেন। তারপর যীশুকে যিহুদীদের মহাসভার সামনে বিচার করা হলো। তখন সেই সভায় সকলে উঠে যীশুকে রোমীয় প্রধান শাসনকর্তা পীলাতের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রধান পুরোহিতেরা ও ধর্ম শিক্ষকেরা সেখানে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে যীশুকে দোষ দিতে লাগলেন। যীশুর কোন দোষ না পেয়েও প্রধান পুরোহিতদের ও ধর্ম শিক্ষকদের হিংসার মুখে পীলাত তাদের সন্তুষ্ট করতে যীশুকে ক্রুশে মেরে ফেলার অনুমতি দিলেন। পরে সৈন্যরা যীশুকে নিয়ে গিয়ে ক্রুশে দিল। সাথে দোষী অন্য দু'জনকেও ক্রুশে দেয়া হলো। সেই দিনটা ছিল বিশ্রামবারের আয়োজন দিন। তাই সেইদিন যীশুকে কবর দেয়া হয়। পরে সপ্তম দিন বিশ্রামবারের অবসান হলে, সপ্তাহ প্রথম দিনের ভোর বেলায় অন্ধকার থাকতেই যীশু কবর হতে জীবিত হয়ে উঠলেন। তাই আজ যীশু জীবিত হয়ে উঠার আনন্দের খ্রিস্ট ভক্তরা ইস্টার সানডে উৎসবের আনন্দের মেটে উঠেন।

 

পূণ্য বৃহস্পতিবার হতে শুরু হয়ে পূণ্য শনিবার মধ্য রাত পর্যন্ত পাপ স্বীকার, উপবাস ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধির জন্য প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার "ইস্টার সানডে" ভোর বেলায় অন্ধকার থাকতেই ত্রাণকর্তা যীশু খ্রিস্ট কবর থেকে জীবিত হয়ে উঠেছেন। মৃত্যুর হতে জীবিত হয়ে উঠার আনন্দের মেতে উঠেন খ্রিস্ট ভক্তরা। একই সাথে ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশ্ব শান্তির কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা সভায় মিলিত হন। যীশু খ্রিস্ট মৃত্যুর পরে কবর থেকে জীবিত হয়ে উঠার আনন্দের নেচে গেয়ে ছেলে মেয়ে, তরুণ তরুণী, বৃদ্ধ বৃদ্ধারা আনন্দে সামিল হন এবং বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

 

এই এলাকার সবচেয়ে বড় চার্চের মধ্যে রয়েছে নিবেদিতা কুমারী মারিয়া ধর্মপল্লী ও শান্তিরাজ ক্যাথলিক ধর্মপল্লী অন্যতম। ইস্টার সানডে কে কেন্দ্র করে ধর্মপল্লী গুলোতে নানান আয়োজনের মাধ্যমে উৎসবটি পালন করেছে।

 

নিবেদিতা কুমারী মারিয়া ধর্মপল্লী পাল পুরোহিত, ফাদার হিউবার্ড শিতল রোজারিও সিএইচসি এই প্রতিবেদককে বলেন, পূণ্য বৃহস্পতিবার হতে শুরু হয়ে ইস্টার সানডে ও আগামী পূণ্য সোমবার পর্যন্ত ইস্টার সানডে উপলক্ষে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলবে।