আজ শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

থানচিতে অবৈধ বালু উত্তোলনের মহোৎসব

থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : সোমবার ১৩ মে ২০২৪ ০৭:০০:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

বান্দরবানের থানচিতে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলছে সাঙ্গু নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের মহোৎসব। অবৈধ বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত এলাকার প্রভাবশালী মহল ও জনপ্রতিনিধিরা। 

 

সাম্প্রতিক রুমা ও থানচিতে কুকি চিং ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের আকস্মিক হামলা চালিয়ে অর্থ লুটপাট, নিরাপত্তা বাহিনীর অস্ত্র এবং গোলাবারুদ ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই নিয়ে বর্তমানে নিরাপত্তা জন্য এলাকায় যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে। একদিকে কুকি চিং ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) সাথে সংঘর্ষের হতাহত ও গ্রেফতারের নিয়মিত ঘটনার হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে রাষ্ট্রের সম্পদ ধ্বংস করে নদীর ভূ-প্রাকৃতিক পরিবেশ, প্রতিবেশ, জীববৈচিত্র্য, জলজ বিনষ্ট করে অসাধু ব্যবসায়ীদের দ্বারা অবৈধ বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে।

 

বালু উত্তোলনের খরব পেয়ে ঘটনাস্থল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বলিপাড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের কনজৈ পাড়া সংলগ্ন সাঙ্গু নদীর হতে হাজার হাজার ঘনফুট বালু উত্তোলন করা হয়েছে।  আপ্রুসে মারমা জমির ব্যবহার করে সাঙ্গু নদীর হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে দু'টো বালু স্তূপ করা হয়েছে। দু'টো বালু স্তূপের অনুমানিক হাজার হাজার ঘনফুট পরিমাণ বালু বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে মজুদ করা হয়েছে।

 

এই বালু কে বা কাহারা উত্তোলন কেরেছে জানতে চাইলে জমির মালিক আপ্রুসে মারমা এই প্রতিবেদককে বলেন, সাঙ্গু নদী হতে এই বালু উত্তোলনকারীদের নাম ও পরিচয় বলা যাচ্ছেনা। কারন, তারা এই এলাকার জনপ্রতিনিধি চেয়ারম্যান ও মেম্বার এবং প্রভাবশালী লোক। তারা সাঙ্গু নদীর হতে বালু উত্তোলনের আগে আমার জমির ব্যবহার করার অনুমতি চাইতে আসে। আমি তাদের আমার জমির ব্যবহার করা অনুমতি দিতে অস্বীকার করলে, বিনিময়ের কিছু টাকা পয়সা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক প্রকার জোর করে আমার জমির উপর তারা বালু স্তূপ বসিয়ে দেয়। এখন তারা টাকা পয়সাও দিচ্ছে না, আমার জমির ও খালি করে দিচ্ছে না। আমি চাষাবাদ করতেও পারছিনা।

 

এই নিয়ে কনজৈ পাড়া কারবারি মংক্যচিং মারমা বলেন, বালু উত্তোলনকারীরা প্রভাবশালী ও জনপ্রতিনিধি চেয়ারম্যান ও মেম্বার হওয়াই আমাদের বাধা দেয়ার মতো সাহস বা ক্ষমতা নেই। দেখেও না দেখার ভান করে থাকতে হয়েছে আমাদের। কার কাছে অভিযোগ করব, যাদের কাছে অভিযোগ করার কথা, তারাই রক্ষক তারাই ভক্ষক।

 

 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন জানান, বালু উত্তোলন করা নিষিদ্ধ। এই এলাকায় যদি কেউ বালু উত্তোলন করে থাকে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।