বান্দরবানের থানচি উপজেলা সদরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বন্ধ রয়েছে থানচি বাজারের বেশির ভাগ দোকানপাট। আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে যাচ্ছেন অনেকে।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) থানচি এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ও পুলিশের সতর্ক পাহারা দেখা গেছে। বাজার এলাকা থেকে চান্দের গাড়িতে স্থানীয়দের এলাকা ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। তবে পুলিশ বলছে, নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আতঙ্কের কোনো কারণ নেই।
সরেজমিনে থানচি এলাকায় বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা গেছে, শুক্রবার থানচি পাড়া জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করা হয়েছে পুলিশ পাহারায়। থানা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরের এই মসজিদে নামাজ শুরুর আগেই অস্ত্র হাতে অবস্থান নেয় পুলিশ।
সকাল থেকে ট্রাকে করে নারী-পুরুষদের এলাকা ছাড়তে দেখা গেছে। এ সময় তাদের সঙ্গে খাবার ও অতিরিক্ত কাপড় দেখা গেছে। থানচি সদর উপজেলার বাজারের বেশির ভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে বন্ধ। যারা খুলেছেন, তারাও আছেন আতঙ্কে।
থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, গতকালের হামলার পর সন্ত্রাসীরা থানার এক থেকে দেড় কিমি এলাকার মধ্যে অবস্থান করছে। আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। আমাদের ধারণা, পুলিশের ওপর হামলা করে তারা নিজেদের শক্তির জানান দিচ্ছে ও অস্ত্র লুটের পরিকল্পনা করছে। আগামীকাল রাতে দুটি জায়গা থেকে তাদের দুটি দল তইক্ষণ পাড়া ও শাহজাহান পাড়া থেকে হামলা চালিয়েছে।
থানার জন্য বাড়তি ফোর্স আনা হয়েছে এবং আরও ফোর্স আনা হচ্ছে। সবাই অস্ত্র নিয়ে থানায় চারপাশে সতর্ক অবস্থানে আছে।
প্রসঙ্গত, বান্দরবানের দুই উপজেলায় গত মঙ্গলবার রাতে ১৭ ঘণ্টার মধ্যে দুটি ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা, অস্ত্র লুট ও অপহরণের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার রাতে থানচি থানা লক্ষ্য করে গুলি করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী। পরে গভীর রাতে আলীকদম উপজেলায় পুলিশ ও সেনাদের একটি যৌথ তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। তবে গতকাল কারা গুলি চালিয়েছে, এ বিষয়ে পুলিশ স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। যদিও এর আগে মঙ্গলবার রাতে বান্দরবানের রুমা উপজেলা সদরে সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ এবং পুলিশ ও আনসারের ১৪টি অস্ত্র লুটের ঘটনায় কেএনএফ জড়িত বলে বলা হয়েছিল। এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে অপহৃত সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিনকে রুমা বাজার থেকে উদ্ধার করে র্যাব। শুক্রবার সকালে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।