টেকনাফে বিজিবি'র পৃথক দুটি অভিযানে ১৩ কোটি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যমানের ২ কেজি ১২০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস ও ৮০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে এবং এসময় ১টি ইজিবাইক করা হয়েছে। বিজিবি সূত্র জানায়, ৮ অক্টোবর শনিবার ভোর রাত দুইটারদিকে ২ বিজিব টেকনাফ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যংয়ের খারাংখালী বিওপি'র টহলদল বিআরএম-১৫ হতে আনুমানিক ২০০ গজ উত্তর দিকে সাড়ে চার কিলোমিটার নামক এলাকায় নিয়মিত টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। উক্ত সময় টহলদল দুইজন ব্যক্তিকে নাফ নদী পার হয়ে বেড়ীবাঁধের দিকে আসতে দেখে এবং তাদের গতিবিধি সন্দেহ হওয়ায় টহলদল তাদের দিকে অগ্রসর হয়। উক্ত ব্যক্তিগণ বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের বহনকৃত একটি ব্যাগ ফেলে রাতের অন্ধকারের সুযোগে সাঁতার দিয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। টহলদল ওই স্থানে পৌঁছে তল্লাশী চালিয়ে চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া একটি প্লাষ্টিকের ব্যাগ উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত ব্যাগের ভিতর হতে ২ কেজি ১২০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস এবং ত্রিশ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। জব্দকৃত মাদকদ্রব্যের সিজার মূল্য ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। পরে টহলদল উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন চোরাকারবারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করতে পারেনি। অপরদিকে একই দিন আনুমানিক ভোর ৫ টায় হোয়াইক্যং চেকপোস্টে নিয়মিত তল্লাশীকালে একটি ইজিবাইক চেকপোস্টের নিকট আসলে বিজিবি সদস্যরা তল্লাশীর জন্য থামার সংকেত দিলে ইজিবাইকের চালক সংকেত অমান্য করে সামনের দিকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। বিজিবি সদস্যরা টহলদল ইজিবাইকটিকে ধাওয়া করলে এক পর্যায়ে চলন্ত অবস্থায় চালক ইজিবাইক থেকে লাফ দিয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামের দিকে পালিয়ে যায় এবং ইজিবাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পার্শ্বের ধান ক্ষেতে পড়ে। পরে ইজিবাইকটি উদ্ধার করে তল্লাশী চালিয়ে সীটের নীচ হতে একটি প্লাষ্টিকের ব্যাগ উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত ব্যাগের ভিতর হতে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। এছাড়াও অবৈধভাবে মাদক বহনের দায়ে বর্ণিত ইজি বাইকটিও জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মাদকদ্রব্য এবং ইজিবাইকের সিজার মূল্য ১ কোটি ৫১লাখ ৫০ হাজার টাকা। টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার সংআাদের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, চোরাকারবারীকে সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তিনি আরো জানান, জব্দকৃত মালিকবিহীন ক্রিস্টাল মেথ আইস ও ইয়াবা ট্যাবলেট বর্তমানে ব্যাটালিয়ন সদরের স্টোরে জমা রাখা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনী কার্যক্রম শেষে তা উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে। এছাড়াও জব্দকৃত ইজিবাইকটি হ্নীলা শুল্ক অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।