চট্টগ্রাম আদালতে প্রতিদিন পদচারণা হয় হাজার হাজার বিচার প্রার্থী মানুষের, আর সেই বিচারকার্য্য নির্ভর করে মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামতের উপর।
চট্টগ্রাম আদালতের মালখানায় জমা আছে চট্টগ্রাম বিভাগ ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সকল থানা সহ সি আই ডি, পিবিআই এর গুরুত্বপূর্ণ মামলার আলামত। আর সেই আলামত রীতিমত হুমকির মুখে, চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিং সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গাড়ি সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলামত ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আদালত প্রাঙ্গণে। আর সেই গুরুত্বপূর্ণ মামলার আলামতের সাথে রাখা আছে সিলিন্ডার সহ চুলা সেসব চুলায় তৈরি করা হয় আদালত প্রাঙ্গণে থাকা ভ্রাম্যমান দোকানের চা নাস্তা। ছবিতে দেখা যায় মামলার আলামত হিসেবে রাখা গাড়ির নিচে সিলিন্ডার সহ গ্যাসের চুলা। আর সেই একই প্রাঙ্গণে দৈনিক সমাগম ঘটে হাজার হাজার বিচার প্রার্থী ও চট্টগ্রাম জেলার দায়িত্বে থাকা বিজ্ঞ জেলা দায়রা জজ বিচারক সহ ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনজীবী গনদের। গ্যাস সিলিন্ডার চুলার পাশের ভবনে আছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়। আদালতে আগত সকলের চোখে ফাঁকি দিয়ে মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামতের নিচে চলছে চা ও নাস্তা তৈরির কাজ। এতে করে যেকোনো মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে মারাত্মক বিস্ফোরণসহ অগ্নিকাণ্ড হতাহত হবে হাজার হাজার বিচারপ্রার্থী লোকজনসহ বিজ্ঞ বিচারকগণ ও আইনজীবীগণ। এ ব্যাপারে উক্ত ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতে জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান চা নাস্তা শেষ হয়ে গেলে পুনরায় তৈরি করার জন্য এই সিলিন্ডার ও চুলা ব্যবহার করা হয়। আদালতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন আমরা বছরের পর বছর ধরে মামলা পরিচালনা করে যায় কিন্তু মামলার শেষ প্রান্তে এসে মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত নষ্ট হয়ে যাওয়ার দরুন আসামি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়ে যায়। আর সেই গুরুত্বপূর্ণ মামলার আলামত এভাবে রোদ বৃষ্টিতে ভিজিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়। চট্টগ্রাম বিভাগীয় মালখানার দায়িত্বে থাকা একজন কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামতের সাথে এভাবে গ্যাসের সিলিন্ডার সহ চুলা রাখা মোটেও নিরাপদ নয় এতে করে যে কোন মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ সহ অগ্নিকাণ্ড এতে করে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে চট্টগ্রাম আদালতের বিভাগীয় মালখানার অস্ত্র গোলাবারুদসহ বহু মূল্যবান গুরুত্বপূর্ণ মামলার আলামত ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন মালখানা সহ চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়। এ ব্যাপারে আরো জানার জন্য চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন প্রথম আদালতের সাথে সাক্ষাৎ করতে চাইলে তিনি দায়িত্বরত পেশকারের মাধ্যমে জানান এ ব্যাপারে মালখানার দায়িত্বে থাকা ইন্সপেক্টর এর সাথে যোগাযোগ করতে। কোর্ট ইন্সপেক্টর এর সাথে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি মালখানার দায়িত্বে থাকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে দায়িত্বে থাকা সকল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে সকলেই সাংবাদিকের সাথে উক্ত বিষয় নিয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।