সারাদেশে ২৬ হাজার ২২৯টি পরিবারকে উপহারের ঘর দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না-এ স্লোগানে সারা দেশের ন্যায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পেলেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার স্বপ্নের বাড়ি। এরই আলোকে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন নতুন ৪০ পরিবারকে ঘরের চাবি, জমির দলিল এবং খতিয়ান হস্তান্তর করা হযেছে। এনিয়ে চকরিয়া উপজেলায় ৬৪০টি পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তর করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় ধাপে ভূমিহীন, গৃহহীন এসব পরিবারকে বিনামূল্যে দুই শতক করে জমিসহ সেমি পাকা ঘর প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এসময় জমির দলিল ও ঘরের চাবি বুঝে নেন ছিন্নমূল এসব পরিবার।
গণভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সাথে ভার্চ্যুয়ালী সংযুক্ত হন চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা পরিষদের হলরুম মিলনায়তন মোহনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান ও সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাত উজ জামান।
উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন হক জেসি চৌধুরী, চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী, সুরাজপুর-মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম, হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মেহরাজ উদ্দিন মিরাজ, সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোসাইন চৌধুরী, পূর্ব বড় ভেওলা ইউপি চেয়ারম্যান ফারহানা আফরিন মুন্নাসহ বিভিন্ন স্থরের ব্যক্তিবর্গ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
উপজেলা সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়ায়
প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় মোট ৬শত ৪০টি গৃহ প্রদান করা হয়।
ইতোমধ্যে দুইটি পর্যায়ে ভূমিহীন ও গৃহহীন ৪৩০টি, তৃতীয় পর্যায়ের ২১০টি সহ মোট ৬৪০টি পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নতুন করে আরো ৪০ পরিবারের মাঝে উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ও ডুলাহাজারা মালুমঘাট এলাকায় নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরগুলো তুলে দিয়ে সর্বমোট ৬৮০ টি ঘর হস্তান্তর করা হলো।
আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মানাধীন
সেমিপাকা এসব ঘরে আছে দুটি রুম, একটি বড় বারান্দা, রান্নাঘর ও টয়লেট। পাশাপাশি সুপেয় পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও। এ ছাড়াও আত্মনির্ভরশীল করতে ওইসব পরিবারের সদস্যদের জন্য কর্মসংস্থানের জন্য নানা ধরনের প্রশিক্ষণও দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ডুলাহাজারা মালুমঘাট সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ও আহত ৮পরিবারে মাঝে মুজিববর্ষ ঘরের চাবি ও দলিল হস্তান্তর করা হয়। পর্যায়ক্রমে যাচাই-বাচাই করে চকরিয়া উপজেলার সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন মাঝে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হবে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গৃহহীন মানুষের মুখে হাসি এনে দিয়েছেন। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল এদেশের বাংলার গরীব-দুঃখীদের মুখে হাসি ফোটাবার। তাই “মুজিববর্ষে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” প্রধানমন্ত্রী এই মহতী স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরের লক্ষ্যে খাস জমি বন্দোস্ত করে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।