বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও প্রাণহানি হয়। শেষ তিন দিন (শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগে-পরে) থানা, পুলিশ ফাঁড়িসহ বেশ কিছু স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। সর্বশেষ গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর সারা দেশে পুলিশি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এতে পুলিশ সদস্যরা থানায় আসতে সাহস পাননি। থানাগুলোর নিরাপত্তায় সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়।
এদিকে, কক্সবাজারের চকরিয়া থানা পুলিশের সেবা কার্যক্রম বিগত পাঁচদিন ধরে বন্ধ থাকার পরে শনিবার সকাল ১১টার দিকে থানা পরিদর্শন করে আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেছেন রামু সেনানিবাস ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার কক্সবাজার মেজর জেনারেল শেখ মো: সরওয়ার হোসেন।
শনিবার সকাল ১১টার দিকে তিনি থানা পরিদর্শনে আসেন।
চকরিয়া থানা পরিদর্শনকালে ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি'র সাথে এসময় উপস্থিত ছিলেন ২ পদাতিক বিগ্রেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: নুরুন্নবী, ১ ইস্ট বেংগল অধিনায়ক ও চকরিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লে: কর্নেল গোলাম কিবরিয়া খন্দকার, ৩৯ এসটি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে: কর্নেল কামরুজ্জামান পিটু, কক্সবাজার পুলিশ সুপার মো: মাহফুজুল ইসলাম, চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো: ফখরুল ইসলাম ও চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী ছাড়াও সেনাবাহিনীর বিভিন্ন কর্মকর্তা, চকরিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সাঈদ হাসান, শামসুল আলন সাঈদী, মোবারক হোসাইন জিহান, ইব্রাহীম ফারুক ছিদ্দিকী, মুসলিমা জন্নাত নূরী ও হুমায়রা তাসনিম মুন উপস্থিত ছিলেন।
১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার কক্সবাজার মেজর জেনারেল মো: সরওয়ার হোসেন থানার কম্পাউন্ডে ঢুকে প্রথমে উপস্থিত বিভিন্ন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা, ইউএনও, ওসি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পরে থানা পরিদর্শন করে হলরুম মিলনায়তনে উপস্থিত থানা পুলিশের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করে পুলিশের সেবা কার্যক্রম শুরু করতে বলেন।
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে মেজর জেনারেল মো: সরওয়ার হোসেন বলেন, দেশ ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে আপনারা কাজে যোগদান করেছেন তার জন্য আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আপনাদের সাথে আছে। থানা পুলিশের কার্যক্রম ভালো ছিলো বলেই ছাত্র জনতার কাছ থেকে আপনারা রক্ষা পেয়েছেন। নিশ্চয়ই মানুষ পুলিশকে সেই সম্মান দিয়েছে। ছাত্র জনতা ও এলাকাবাসী আন্তরিক না থাকলে এই থানাকে রক্ষা করা কঠিন হতো। সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে সেনাবাহিনী পাশে থাকবে। মনোবল দূর্বল করার কোন কারণ নেই। মানুষের মাঝে পুলিশের সেবা কার্যক্রমে কোন ধরণের যেন বিড়ম্বনা না হয় তার জন্য সার্বক্ষনিক ছাত্ররা পাশে থাকবে বলে কথা দিয়েছেন। ভয়ের কোন কারণ নেই। আপনারা নির্ভয়ে দায়িত্ব পালন করুন।