কক্সবাজারের চকরিয়ায় পবিত্র ঈদুল আজহা (কোরবানিকে) সামনে রেখে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও এক রাউন্ড গুলিসহ চার ছিনতাইকারীকে আটক করেছেন। এসময় ছিনতাইকারীর কাছ থেকে দেশীয় তৈরি ধারালো চুরি, রামদা, কিরিচ, মোবাইল ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। অস্ত্র টেকিয়ে ছিনতাইয়ের পরিকল্পনায় এসে তারা ধরা পড়ে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে চকরিয়া উপজেলার ইলিশিয়া লালব্রীজ নামক এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক ছিনতাইকারীরা হলেন, উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের ঈদমনি এলাকার ওবাইদুল হকের পুত্র আব্দুল বাছেদ (২১), একই এলাকার মৃত শরিফ উদ্দিনের পুত্র বদিউল আলম (১৮), নুরুল কবিরের পুত্র কামরুল হাসান (১৮) ও নুরুল আলমের পুত্র আরাফাত হোসেন বাপ্পি (২০)।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ইলিশিয়া লালব্রীজ নামক এলাকায় গাড়ি ছিনতাইয়ের গোপন সংবাদ পেয়ে দ্রুত চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান চালানো হয়। ওই সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ায় সময় হাতে নাতে চার ছিনতাইকারী আটক করা হয়। আটক ছিনতাইকারীর কাছ থেকে পুলিশ তল্লাশি করে দেশীয় তৈরি একটি অস্ত্র, এক রাউন্ড গুলি, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নয়টি মোবাইল, একটি ধারালো চুরি, একটি রামদা, একটি কিরিচ ও ছিনতাইকৃত নগদ এগারশত টাকা উদ্ধার করেছে। পুলিশ আরো জানায়, আটক ছিনতাইকরীরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে একটি এ্যাম্বুলেন্স থেকে ছিনতাই করেছে বলে স্বীকার করেছেন। মূলত বদরখালী সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে ছিনতাইকারীরা গাড়ি আটকিয়ে ছিনতাই করে টাকা-পয়সা লুটে নেয় তারা। মঙ্গলবার গভীর রাতে সড়কে গাড়ি ছিনতাইয়ের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করতে সক্ষম হয়।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আটক ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে
দস্যুতা ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন। বুধবার দুপুরে আটক চার ছিনতাইকারীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।