আজ শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কক্সবাজার শহরে হোটেল কর্মচারীসহ ২ জন নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : সোমবার ১০ জুন ২০২৪ ০৯:০৯:০০ অপরাহ্ন | কক্সবাজার প্রতিদিন

কক্সবাজার শহরে একদিনে পৃথক  দুইটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। একটি ঘটনা শহরের মেরিন ড্রাইভ সড়কে, অপরটি ৭নং ওয়ার্ডের আশুর ঘোনায়।

 

রবিবার (৯ জুন) সন্ধ্যাবেলায় ঘটনা দুটি হয়েছে। 

 

কলাতলী বেইলি হ্যাচারি সংলগ্ন ভাঙ্গা সৈকতের মুখে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নুরুল কাদের (২৩) নামের হোটেল কর্মচারী নিহত হয়েছেন। তিনি চকরিয়া বরইতলী বৈদ্যের পাড়ার মোহাম্মদ ইব্রাহিমের পুত্র।

 

প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, নুরুল কাদের বেস্ট ওয়েস্টার্ন হেরিটেজে কর্মরত ছিলেন। বীচে ঘুরাঘুরি শেষে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ৪/৫ জন ছিনতাইকারী মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে তাকে ছুরিকাঘাত করে। তার আর্তচিৎকারে পথচারীরা এগিয়ে যাওয়ায় ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নুরুল কাদের এর সহকর্মীরা জানান, তার সাথে একজন মেয়ে ছিল। তারা বীচে ঘুরতে গিয়েছিল। ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে মেয়েটিও গুরুতর আহত হয়। ফোন পেয়ে আমরা ছুটে গিয়ে দেখি, নুরুল কাদের গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে আছে।

 

স্থানীয় সুত্র জানায়, তসলিমা বেগম নামক নারীর সঙ্গে সপ্তাহখানেক আগে  নুরুল কাদেরের বিয়ে হয়। 

 

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ আশিকুর রহমান বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে তার মৃত্যু হয়। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

 

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান বলেন, ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।

 

অন্যদিকে শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ার ছড়া এলাকায় সৌদি প্রবাসী হারুনুর রশীদ এর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্বার করা হয়েছে তারই নিজ বাড়ির বেডরুম থেকে। পরে তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। 

মূলত গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করার বিষয়টা জানতে পেরে তার প্রথম বউ তাকে হত্যা করেছে বলে অনেকে ধারণা করছেন।

 

তবে তার কন্যার ভাষ্য মতে, তাকে বাবার জন্য চা বানিয়ে দিতে বলা হয়। সে চা বানিয়ে তার মায়ের হাতে দেয়, পরে তার মা চায়ের কাপ নিয়ে গিয়ে হারুনুর রশীদকে দেন। অল্প কিছুক্ষণ পর তার বাবা হঠাৎ ছটফট করতে শুরু করে। তার মা তাকে রাগান্বিত স্বরে বলেন, চায়ে কী মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে? সে কিছুই দেয়নি বলে, বের হয়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে যায়। পরে বাড়ি ফিরে এসে দেখে, সব লাইট অফ। বাবার বেডরুমে গিয়ে লাইট দিতেই দেখে হারুনুর রশীদের রক্তাক্ত মরদেহ।

পৃথক দুই ঘটনার তদন্তে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে বলে জানা গেছে।