আজ রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কক্সবাজারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হত্যা মামলায় ৪ আসামির মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ২ জনের

ইমাম খাইর, কক্সবাজার : | প্রকাশের সময় : বুধবার ৩১ অগাস্ট ২০২২ ১২:৩০:০০ অপরাহ্ন | কক্সবাজার প্রতিদিন

কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এল.এল.বির ৫ম সেমিস্টারের ছাত্র জিয়া উদ্দিন ফয়সাল হত্যাকাণ্ডে চার আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

 

তারা হলেন, সদরের পিএমখালীর পূর্ব মাছুয়াখালীর নুরুচ্ছফার ছেলে রেজাউল করিম প্রকাশ বুইল্লানির ছেলে (২০), মৃত আমান উল্লাহর ছেলে নুরুল হক (২৩), মৃত অছিয়র রহমানের ছেলে রমজান আলী (২৫) ও মো. ইসহাকের ছেলে রুবেল (২৩)।

 

এ মামলার দুই আসামি একই এলাকার আবছারের ছেলে শাহিন উদ্দিন (২৩) ও দুদু মিয়ার ছেলে মনি আলম (১৯)কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক।

 

বুধবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে এসটি ১২৮/১৮ শুনানি শেষে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এই রায় প্রদান করেন।

 

রায় ঘোষণাকালে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।

 

২০১৭ সালের ১৬ এপ্রিল রাতে পিএমখালীর পূর্ব মাছুয়াখালী এলাকায় মাদক কারবারীদের স্বশস্ত্র হামলায় নিহত হন জিয়া উদ্দিন ফয়সাল। 

 

পরের দিন (১৭ এপ্রিল) এ ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন ফয়সালের পিতা মো. নুরুল আনোয়ার। যার থানা মামলা নং-৬২। জিআর-৪০৬/১৭। এসটি ১২৮/১৮।

 

৪ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কুতুব উদ্দিন খান। ২০১৮ সালের ১ মার্চ মামলার চার্জ গঠন করা হয়। 

 

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি ও রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, এজাহারের ৯ জন আসামির মধ্যে ৬ জনকে প্রাথমিকভাবে দোষী সাব্যস্থ করে বিচার করতে এবং অবশিষ্ট ৩ জন আসামিকে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাদেরকে মামলার দায় হতে বাদ দিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) আদালতে প্রার্থনা করেন। 

 

মামলাটির সাক্ষী, আলামত প্রদর্শনসহ বিচারের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু আদালতে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে রাষ্ট্র পক্ষ। মামলাটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে রায় ঘোষণা করতে পেরেছেন বিচারক। এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেন।

 

জিয়া উদ্দিন ফয়সাল এলাকায় প্রতিবাদী যুবক হিসেবে পরিচিত। মাদকসহ প্রায় অপরাধের বিরুদ্ধে তিনি সোচ্চার থাকতেন। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেন। এ কারণে চিহ্নিত মাদক কারবারীরা তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল।