চট্টগ্রাম নগরীতেই বেশ কিছু আবাসিক হোটেল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স ছাড়াই অবাধে ব্যবসা করছে। শুধু তাই নয় এসব হোটেলে নানা ধরনের অসামাজিক কার্যক্রমও চলে আসছে।
তবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে এসব আবাসিক হোটেলে বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে।
সোমবার (২৬ জুন) নগরীর ওয়াসা মোড় সংলগ্ন মুনতাসীর সেন্টারের পঞ্চম এবং ৯ম তলায় হোটেল এলিট পার্কে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের এনডিসি মো: তৌহিদুল ইসলাম ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রতীক দত্তের নেতৃত্বে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানের সময় হোটেলটিতে ব্যাপক হারে বিয়েবহির্ভূত অসামাজিক কার্যকলাপের প্রমাণ পায়।এছাড়া হোটেলটি পরিচালনা করার জন্য কোনো লাইসেন্স নাই।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো: তৌহিদুল ইসলাম জানান, এই আবাসিক হোটেলটিতে যথাযথভাবে অতিথি রেজিস্টার সংরক্ষণ করা হয় না।
হোটেলের রেজিস্টার এবং সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, হোটেলে উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়ে, তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতীদের ব্যাপক যাতায়াত। যারা অধিকাংশই বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত।
জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত এ সকল অভিযোগে হোটেলের ম্যানেজার মুনতাসীর মামুনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং হোটেলটি পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তালা মেরে বন্ধ করে দেয়া হয়।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, হোটেল এলিট পার্কের মালিক জনৈক জমীর উদ্দিন। একই জায়গায় আগে টানেল সিটি নামক একটা হোটেল পরিচালিত হতো। জেলা প্রশাসনের অনুমোদন ব্যতিরেকেই আবাসিক হোটেল ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছিলেন।
উল্লেখ্য, এলিট পার্কে হোটেলের অষ্টম তলার নীচেই চট্টগ্রাম স্কাই ক্লাব নামে একটা প্রতিষ্ঠান পাওয়া যায়। স্থানীয়ভাবে জানা যায়, চট্টগ্রাম স্কাই ক্লাবে ক্যাসিনো-জুয়া সহ অন্যান্য অসামাজিক কর্মকাণ্ডে দায়ে কিছুদিন পূর্বে ক্লাবটি পুলিশ বন্ধ করে দিয়েছিলো। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।