আজ শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

অপহৃত ব্যাংক কর্মকর্তাকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করাই মুল টার্গেট ছিল: র‌্যাব

এইচ এম সম্রাট,বান্দরবান | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ৫ এপ্রিল ২০২৪ ০২:০৮:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

বান্দরবানের রুমা সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে সম্পুর্ন অক্ষত অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে তার পরিবারের তাছে ফরিয়ে দেয়ায় ছিল সরকারসহ র্যাব ও সেনাবাহিনী মুল টার্গেট। অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে আমরা সম্পুর্ন অক্ষত ও সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন পুলিশ ও আনসারের ১৪টি লুন্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার ও অপরাধীদের ধরতে শিগ্রই সাঁড়াশী অভিযান চালাবে র্যাব ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে যৌথ বাহিনী। শুক্রবার (৫এপ্রিল) বেলা ১১টায় বান্দরবান পাবর্ত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের গনমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন,গত ২এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টার দিকে কেএনএফ এর শসস্ত্র সদস্যরা প্রথমে মসজিদে হামলা চালিয়ে নামাজরত অবস্থায় ব্যাংক ম্যানেজারকে তুলে ব্যাংকে নিয়ে ব্যাকের ভল্ট ভেঙ্গে টাকা লুট করার চেষ্টা চালায়। তারা ব্যাংকের টাকা লুটে ব্যর্থ হয়ে ব্যাংক ম্যানেজারের কাছ থেকে ১কোটি টাকা দাবী করে। তাদের চাহিদা মত টাকা না পেয়ে ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরন করে নিয়ে যায়। এসময় পুলিশের ১০টি ও আনসার সদস্যের ৪টি মোট ১৪টি সরকারী অস্ত্রও লুট করে নিয়ে যায় বলে তিনি জানান। অপহরন ঘটনার পর সরকারের নির্দেশে র্যাব, সেনাবাহিনী,পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে কৌশল অবলম্বন করে আমরা অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে পরিকল্পনা করি। সেই মত আমরা স্থানীয় জনসাধারনসহ সকলের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলি। এসময় কেএনএফ এর পক্ষ থেকে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে অপহৃতের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে কেএনএফ। আমরা আমাদের পরিকল্পনা মতে মুক্তিপণ ছাড়াই গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে রুমা সদরের বেথেল পাড়া থেকে অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। র্যাব আরো জানায়,অপহরনের পর অপহরনকারী ব্যাংক ম্যানেজার মো: নেজাম উদ্দীনকে রাত ৩টা পর্যন্ত পায়ে হেটে পাহাড়ী পথে গহীন অরন্যে নিয়ে গিয়েছিল। এসময় কেএনএফ সদস্যরা অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে দুবেলা খাবার সরবরাহ করেছে এবং ঘুমানোর সুযোগ দিয়েছিল। তবে কেএনএফ সদস্যরা অপহৃতের সাথে কোন খারাপ আচরন বা শারীরিক নির্যাতন করেনি। এসময় র্যাবের গনমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরো বলেন,কেএনএফ এর শসস্ত্র সদস্যরা গত ২ তারিখে রুমা ব্যাংক ও অস্ত্র লুট ঘটনার পরের দিন থানছিতে দুটি ব্যাংক লুট এবং গত রাতে আবারো থানছিতে ব্যাংক লুট করতে গিয়ে পুলিশ ও বিজিবি'র উপর গুলি বর্ষন করেছে। তারা দিনের পর দিন সীমা লঙ্ঘন করে যাচ্ছে যা একটি স্বাধীন দেশের জন্য কখনো কাম্য হতে পারেনা। আমরা ব্যাংক ম্যানেজারকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরেছি। এখন আমাদের আর কোন পিছু টান নেই।পুলিশ ও আনসারের ১৪টি লুন্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার ও অপরাধীদের ধরতে শিগ্রই সাঁড়াশী অভিযান চালাবে র্যাব ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে যৌথ বাহিনী। এদিকে গত ২এপ্রিল থেকে রুমা ব্যাংক ডাকাতি,ম্যানেজার অপহরন ও থানছির দুই দফা ঘটনায় এখনো পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি বলে জানিয়েছে র্যাব।