আগামী অক্টোবরে পদ্মা রেল সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকেও চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন শি জিনপিং।
দক্ষিণ আফ্রিকায় চলমান ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বুধবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় জোহানেসবার্গের হোটেল হিলটন স্যান্ডটনে দুই নেতার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে চীনা প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী।
জবাবে শি জিনপিং বলেন,
‘আমি অবশ্যই আপনার দেশে যাবো। তবে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সফরের সময় নির্ধারণ করা হবে।’
দুই নেতার বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান।
তিনি জানান, শি জিনপিংয়েংর আমন্ত্রণের জবাবে শেখ হাসিনা বলেছেন,
তিনি চীন সফর করবেন, তবে সময় লাগতে পারে। কারণ, জাতীয় নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। তিনি নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত থাকবেন।
এদিকে শেখ হাসিনা চীনের প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চীনে পড়াশোনার সুযোগ বাড়ানোর আহ্বান জানান। বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দেন শি জিনপিং।
ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে গত মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সেখানে পৌঁছান সোমবার মধ্যরাতে। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে ও ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের বিষয়ভিত্তিক অ্যাম্বাসেডর এবং অটিজম ও নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ব্রিকস সম্মেলনের বিভিন্ন কর্মসূচির পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক নানা বৈঠক-সাক্ষাতে ব্যস্ত সময় পার করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চীনা প্রেসিডেন্ট ছাড়াও ব্রিকস সম্মেলনে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী বিশ্বনেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এরমধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ হয় দুই দফা। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভও সাক্ষাৎ করেছেন শেখ হাসিনার সঙ্গে।
এছাড়া বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ হয়। এদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো এবং ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা।